Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আমাদের বিষয়

ইতিহাস
গার্ল গাইডিং এর ইতিহাস (History of Girl Guiding)
ঊনিশ শতকের গোড়ার কথা, সে সময় খোদ ইউরোপেও মেয়েরা বহির্জগতের কোন কাজ করতে পারতনা। তখন পুরুষের তুলনায় মেয়েদের শিক্ষা লাভের সুযোগ বা স্বাধীনতা ছিল সীমিত। সেই সময় সেলাই, ছবি আঁকা, গান/বাজনা বা অন্দর মহলে ছিলো তাদের জীবন আবদ্ধ। নতুন শতাব্দীতে মেয়েরা নতুন স্বপ্ন দেখছিলো- চেয়েছিল পুরুষের পাশে চলার স্বাধীনতা। ১৯০৬ সাল, এমন সময় লর্ড স্টিফেন্স স্মিথ ব্যাডেন পাওয়েল “বোয়ের” যুদ্ধ শেষে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। এই যুদ্ধে তিনি নিজ উদ্যোগ ও “রিসোর্স” এর ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দিতেন। তার এই ধারনা যুব সমাজের জন্য স্বশিক্ষা ও অবসরকালীন বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা যায় মনে করে বিভিন্ন পরিবেশের ছেলেদের নিয়ে পরীক্ষামূলক ক্যাম্প করেন। এছাড়া একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিনে “স্কাউটিং ফর বয়েজ” লিখতে শুরু করেন। এতে অভূতপূর্ব সাড়া মিলে, ছেলেদের জন্য স্কাউটিং এর জন্ম হয়। ১৯০৮ সালে স্কাউট আন্দোলন সরকারী মর্যাদা পায়। স্কাউটিং এর এই ধারনা মেয়েদেরকেও নাড়া দেয়। ১৯০৯ সালে ৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনের “ক্রিস্টাল প্যালেস” এ সর্ব প্রথম “সর্ব ইংল্যান্ড স্কাউট র‌্যালী” অনুষ্ঠিত হয়। এগারো হাজার বয়স্কাউট এতে অংশগ্রহণ করে। ভাইদের কর্মসূচী ও তাদের পোষাক নিয়ে ১১ জন গার্ল স্কাউট এই র‌্যালীতে যোগদান করতে আসে। তিনি তাদের ফিরিয়ে দেন। লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল এদের দেখে অবাক হন। তিনি ভাবেন ছেলেদের জন্য দল থাকবে মেয়েদের জন্য কেন নয়! এই ভাবনা থেকে তিনি সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে মেয়েদের জন্য স্কাউটের ভগিনী সংগঠন “গার্ল স্কাউট” নামে আলাদা সংগঠন গড়ে তোলেন। তাঁর বোন এ্যাগনেস ব্যাডেন পাওয়েলকে এর দায়িত্ব দেন। তিনি “স্কাউটিং ফর বয়েজ” বই থেকে লিখলেন “হাউ গার্লস ক্যান হেল্প দ্যা এম্পায়ার”। তিনি গাইডদের একটি কোম্পানী চালু করেন। কোম্পানীর নাম দেন “মিস ব্যাডেন পাওয়েলস ওন” গ্রুপ বেসরকারীভাবে গাইড দল গঠিত হতে লাগলো ও প্রধান কার্যালয়ে ছয় হাজার “নিজস্ব স্টাইলের” গাইড রেজিস্টার হলো। লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল এদের নাম দিলেন “গাইড”। এই নামটি তিনি নিয়েছেন ভারতীয় গাইড “করপস” থেকে যারা নিজেদের সরঞ্জাম উদ্ভাবনের দক্ষতা ও সাহসিকতার জন্য বিখ্যাত ছিলো। এ্যাগনেস ব্যাডেন পাওয়েল এই দলের সাংগঠনিক রূপ দিবার পর এর প্রেসিডেন্ট হিসাবে “গার্ল গাইডস্ হেড কোয়াটার” তৈরী করেন। ১৯১০ সালে সরকারিভাবে এই আন্দোলন স্বীকৃত হয়। ১৯১২ সালে তিনি তাঁর বই “হাউ গার্লস বিল্ড আপ দ্যা এম্পায়ার” প্রকাশ করেন। ১৯১৬ সালে সিনিয়র গ্রুপ বা রেঞ্জার দল চালু হয়। ১৯১২ সালে স্যার বেডেন পাওয়েলের সঙ্গে মিস অলেভ সেন্ট ক্লেয়ার সোমস এর বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তিনি লেডী ব্যাডেন পাওয়েল নামে গাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছারাও জুলিয়েট লো এর সহায়তায় আমেরিকায় (টঝঅ) গাইডিং কার্যক্রম শুরু হয়।
 
 
 
মিশনঃ বিশ্ব নাগরিক হিসেবে বালিকা, কিশোরী ও তরুণীদের সুপ্ত প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ সাধন যেন তারা দায়িত্বশীল বিশ্ব নাগরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। 
 
 
 
ভিশনঃ প্রত্যেক বালিকা, কিশোরী ও তরুণীকে মূল্যায়ন ও সমৃদ্ধ করা যেন তারা বৈশ্বিক পরিবর্তনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারে।